রমজানে দোয়া কবুলের উত্তম ৩ সময়
পবিত্র রমজান দোয়া কবুলের মাস, নাজাতের মাস। দোয়া কবুলের রয়েছে কয়েকটি বিশেষ সময়। যে সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ বান্দার দোয়া ফেরত দেন না। এর মধ্যে অন্যতম সময় হলো রাতের শেষ প্রহর।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর যে দোয়া করা হয়। অর্থাৎ রমজানের সাহরির সময়ের দোয়া বেশি কবুল হয়।
সুরা আল আহযানের ২১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, “অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ, তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।”
অন্য এক হাদিসে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, আমাদের পালনকর্তা মহান আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কে আছো, আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছো, আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করবো। কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো। এভাবে তিনি ফজরের ওয়াক্ত স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। (বুখারি, মুসলিম)
রমজানের শেষ রাতগুলো আরও বেশি মর্যাদাপূর্ণ। এ সময়ের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। সুতরাং আমাদের উচিত এই মোক্ষম সময় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করা।
ইফতারি সামনে নিয়ে রোজাদার ব্যক্তি দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফেরত দেন না। ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া, ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া এবং জালিমের বিপক্ষে মজলুমের দোয়া। (মুসনাদে আহমদ)
রমজানে দোয়া কবুলের আরেকটি বিশেষ সময় হলো ফজরের পর। হযরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসুলকে (সা.) কোন সময় দ্রুত দোয়া কবুল হয় মর্মে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দেন, রাতের শেষ প্রহর এবং ফজরের পর। (সুনানে তিরমিযি: ৩৪৯৮ )
রমজানে অধিকাংশ মানুষ এই সময়টা ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু এ সময় দোয়া কবুল করানো, ক্ষমা ও আল্লাহর অনুগ্রহ লুফে নেওয়ার সুবর্ণ সময়।
এ ছাড়াও দোয়া কবুলের জন্য অন্যতম রাত লাইলাতুল ক্বদর। শুধু রমজান নয়, বরং সারা বছরের মধ্যে অন্যতম ফজিলতপূর্ণ রাত হলো লাইলাতুল ক্বদর। এ রাত দোয়া কবুলের রাত। এ রাতে মাগরিব থেকে ফজর হওয়া পর্যন্ত অসংখ্য মানুষকে ক্ষমার ঘোষণা দেয়া হয়। অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়।