বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫০ ইউনিট
রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ৭টা) ঢাকার সবগুলো ফায়ার ইউনিটকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জানান, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কমবেশি ৪১টি ইউনিট কাজ করছে। এ ছাড়া আরো অনেক ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’
আগুন লাগার পর তা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচুর পরিমানে দাহ্য পদার্থ ও বাতাসের কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আগুন ও কালো ধোয়ায় চারপাশ ভরে গেছে। ইদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমানে কাপড় দোকানে মজুদ করেছিলেন। চোখের সামনে ব্যবসায়ীদের সকল পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
শেষ সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নেভাতে সেনা বাহিনী এবং বিমান বাহিনীও অংশ নিয়েছে।
অ্যানেক্স মার্কেটের দোকান মালিক নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবাজার, মহানগর, আদর্শ ও গুলিস্তান মার্কেট আগুনে পুড়ে গেছে। এখন অ্যানেক্স মার্কেটে আগুন লেগেছে।
আরেক দোকান মালিক আল মামুন বলেন, আগুন লেগেছে বঙ্গবাজার থেকে। আমার দোকান অ্যানেক্স মার্কেটে। দুই ঘণ্টা হলো এখানে এসেছি। ভয়ে কিছুই বের করতে পারিনি। এখন আমার দোকানও শেষ!
ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে শাড়ি, জিন্সের প্যান্টসহ বিপুল কাপড়ের স্টক ছিল তাদের দোকানে। সব দোকানে কাপড় থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী ইসলামিয়া মার্কেটসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের বিপরীতে থাকা দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের তাদের দোকানে থাকা মালামাল বের করে রাখতে দেখা গেছে।