Miscellaneous News

যে কারণে বাবাকে বেল্ট দিয়ে পেটাতেন সাহেদ

বাবাকে বেল্ট দিয়ে – গেলো ৯ জুলাই রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদের বাবা। তার বাবা বাবা সিরাজুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।

পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়।

একদিন পর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে একটি অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ধরা পড়ার মুহূর্তে সাহেদ নিজেকে একজন গণমান্য ব্যক্তি বলে দাবি করেছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে উঠে আসছে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ। এবার নিজের বাবাকেও পেটানোর অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে।

সাহেদের একজন সাবেক দেহরক্ষী গণমাধ্যমকে জানান, ২০১১ সালে সাহেদের বাবা ছেলের একান্ত সহকারীকে (পিএস) বিয়ে করেন। সাহেদের মা সাফিয়া করিম আগেই মারা যান।

সাবেক ওই দেহরক্ষী বলেন বৃদ্ধ বয়সে সাহেদের বাবা আশ্রয় খুঁজছিলেন। কারণ তাকে দেখভালের তেমন কেউ ছিল না। তবে পিএসকে বিয়ে করায় নিজের বাবাকে উত্তরার অফিসে প্রকাশ্যে বেল্ট দিয়ে বেদম মারধর করেন সাহেদ।

এটা দেখে রিজেন্টের অনেক কর্মী বিস্মিত হয়ে যান। পরে সাহেদের বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাসায় থাকতেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তার একটি সন্তান রয়েছে।

সাহেদের অপকর্মের তথ্য জানতে র‌্যাব যে হটলাইন চালু করেছে সেখানে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ১৩০টি অভিযোগ এসেছে টেলিফোনে। আর বাকি ২০টি ই-মেইলে।

পাঠকের মতামত:

Back to top button