ফেসবুকের প্রেম থেকে বিয়ে, পাঁচ দিন পরই খুন

ফেসবুকের প্রেম থেকে – ফেসবুকে তরুণ-তরুণীর পরিচয়, তারপর প্রেমে জড়িয়ে পড়া আর সেই থেকে বিয়ে। তবে সেই সুখ আর বেশিদিন স্থায়ী হলো না। বিয়ের মাত্র পাঁচদিন পরই স্বামীর নৃশংস হত্যার শিকার হলেন স্ত্রী। রাজধানীর মুগদা দক্ষিণ মান্ডার এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা।
প্রথমে হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে গতকাল শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মোগড়াপাড়া এলাকায় থেকে লিমার স্বামী জহির ইসলাম নিলয়কে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, বিয়ের পর দক্ষিণ মান্ডার হিরুমিয়া রোডের আব্দুল হাকিমের ১০৬৩ নম্বর বাড়ির ৩য় তলায় দুটি রুম নিয়ে ভাড়া থাকতেন লিমা আক্তার ও জহির ইসলাম নিলয় দম্পতি। লিমা শরীয়তপুরের পালং থানার আঙ্গারিয়া গ্রামের দ্বীন ইসলামের মেয়ে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, লিমা ছিলেন মাদকাসক্ত। আর জহির একটি ছাপা কারখানায় সামান্য বেতনে কাজ করতেন। বিয়ে ছাড়াও দীর্ঘ ৭ মাস ধরে তারা একসঙ্গে ছিলেন।
মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা জানান, দক্ষিণ মান্ডা হিরু মিয়া রোডের আব্দুল হাকিম মোল্লার বাড়ির ২ রুম নিয়ে ভাড়া থাকতেন ওই দম্পতি। ৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা ওই রুম থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে রাতেই মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটি পচা গলা অবস্থায় ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ৫/৬ দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রলয় কুমার সাহা আরো বলেন, রাতেই ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ওই তরুণীর পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তার মা কমলাপুর এলাকাতে থাকেন। আর বাবা শরিয়তপুর গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ৫ নভেম্বর লিমার বড় ভাই সুমন কাজী অজ্ঞাতনামা আসামি করে মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত মার্চে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় লিমার সাথে। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর ২৫ অক্টোবর তারা বিয়ে করে। বিয়ের পরদিন থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। ঘটনার দিন ৩০ অক্টোবর রাত ১১টায় ঝগড়াঝাঁটির একপর্যায়ে লিমার বুকের উপরে বসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় নিলয়।