Miscellaneous News

অনলাইনে কেনা থ্রি-পিসের দাম দিতে গিয়ে স্বামী-সংসার হারালেন তরুণী

থ্রি-পিসের দাম – অনলাইনে কেনা একটি থ্রি-পিসের দাম দিতে গিয়ে সংসার ভেঙেছে এই নারীর, তালাক দিতে হয়েছে স্বামীকে। জরিমানা দিতে হয়েছে থ্রি-পিস ‘বিক্রেতা রতনকেও।

রোববার রাতে টা’ঙ্গাইলের বাসাইল উপজে’লার বাদিয়াজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার ‘বিকেলে স্থানীয় মাতব্বররা সালিস ডেকে স্বামীর স’ঙ্গে ওই নারীর বিচ্ছেদ ঘটান। একইস’ঙ্গে ব্যবসায়ী রতনের কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এ বি’ষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, অনলাইনে কাপড় নিছিলাম। কাপড়ের টাকার জন্যই আসছিলো রতন। ঘরের ভেতরেও আসে নাই, দরজার কাছে ছিল। আমা’র দেবর তাকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর অনেকবার ডাকলেও সে দরজা খোলে নাই। সারারাত আমাকে ও রতনকে এক ঘরে আট’কে রেখেছে। সকালে বাড়ির সবাইকে ডেকে এনে একটা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমা’র সংসার ভেঙেছে।

তিনি বলেন, আমা’র ভুল ছিল- আমি বাড়ির কাউকে না জানিয়ে রতনকে রাতে টাকা দেয়ার জন্য আসতে বলেছি। এ ঘটনা না ঘটলে তো আমা’র সংসার ভাঙতো না। আমা’র শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চাপ দিয়ে আমাকে তালাক দিতে বাধ্য করেছে। আমা’র বিরু’দ্ধে স্বামীর পাঠানো ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিথ্যা অ’ভিযোগ তুলেছে।

ওই নারী আরো বলেন, আমা’র স’ঙ্গে রতনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। সে আমাকে ধ’র্ষ’ণ করেনি, শরীরে স্পর্শ পর্যন্ত করেনি। সারারাত সে নিচে ছিলো, আমি খাটের উপরে ছিলাম।

এ বি’ষয়ে ব্যবসায়ী রতন বলেন, বাদিয়াজান গ্রামে আমা’র শ্বশুরবাড়ি। সেই সুত্রেই ওই নারীর স’ঙ্গে পরিচয়। তিনি আমা’র কাছ থেকে বাকিতে একটা থ্রি-পিস নিয়েছিলেন। রোববার রাতে কাজ শেষে থ্রি-পিসের টাকা আনতে তার বাড়িতে যাই। এরপরই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা আমাকে আট’কে সালিস বৈঠক ডাকে।

পাঠকের মতামত:

Back to top button