রূপার নে’শা শুধু ‘বিয়ে’! প্রবাসীসহ সর্বশান্ত অনেকে
প্রবাসীসহ সর্বশান্ত – যুবকদের প্রেমের ফাঁ’দে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অ’ভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজে’লার শাহনাজ পারভীন রূপা ওরফে রিপা (২৩) নামে এক নারীর বি’রুদ্ধে। অ’ভিযুক্ত নারী উপজে’লার মমিনপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী মণ্ডলের মেয়ে।
অ’ভিযোগ, একাধিক বিয়ে হলেও নিজেকে কুমারী দা’বি করে বিত্তবান পরিবারের যুবকদের প্রেমের ফাঁ’দে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই যার নে’শা। এ ছাড়াও তথ্য গোপন করে সরকারি চাকরি করছে বলে অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘ’টনায় প্র’তারণার শিকার মিজানুর রহমান নামে এক যুবক রূপাকে প্রধান আ’সামি করে তার মা শিউলি বেগম ও বোন সীমার বি’রুদ্ধে টাঙ্গাইল আ’দালতে একটি মা’মলা দা’য়ের করেছেন। বর্তমানে মা’মলাটি ত’দন্ত করছেন টাঙ্গাইল পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর উপ পরিদর্শক ফরিদ আহমেদ।
তিনি জানান, মা’মলা ত’দন্তাধীন রয়েছে। ধনবাড়ী উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা আরিফা সিদ্দিকা জানান, বিষয়টি মাত্র শুনলাম। যদি এরকম কোন ঘ’টনা ঘ’টে থাকে তাহলে তার বি’রুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মা’মলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজে’লার এনায়েতপুর এলাকার মিজানুর রহমান ২০১৩ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য মালেয়শিয়া গমন করেন। সেখানে থাকাবস্থায় ধনবাড়ি উপজে’লার মমিনপুর গ্রামের ইদ্রিস মন্ডলের মেয়ে শাহনাজ পারভীন রূপা ওরফে রিপার সাথে তার ফেসবুকে পরিচয় হয়।
একসময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মিজানুর রহমান ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে আসলে তাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়। রুপা টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজে পড়াশোনা অবস্থায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত টিউশন, কলেজের বেতন ও হোস্টেল খরচ হিসেবে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিয়ে ঠিক হলে সরকারি চাকরির জন্য মিজানুরের কাছ থেকে আরো আড়াই লাখ টাকা নেয় রূপা। এরপর শাহনাজ পারভীন রূপা ধনবাড়ী উপজে’লার যদুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পায়।
তবে মিজানুর রহমান রুপাকে বিয়ের কথা বললে তিনি বিয়ে করবে না বলে অ’স্বীকার করেন। পরে মিজানুর রহমান ও তার পরিবার টাকা ফেরত চাইতে রুপার বাড়িতে গেলে মিজানুরের মাকে এলোপাথারী ভাবে মা’রধর করে তাদের তাড়িয়ে দেয় এবং টাকা নেওয়ার কথা অ’স্বীকার করেন রুপা।
জানা যায়, ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে মধুপুর উপজে’লার আম্বাড়ীয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে রোকনুজ্জামানের সাথে পারিবারিকভাবে রুপার বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় পর’কীয়া প্রেমে পা’লিয়ে গিয়ে রোকনুজ্জামানের বন্ধু একই উপজে’লার মোল্লাবাড়ী এলাকার মৃ’ত হাজী শহীদ আলীর ছেলে মনির হোসেনের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
এরপর আগের দুটি বিয়ের তথ্য গোপন করে তৃতীয় বিয়ে করেন নড়াইল জে’লার লোহাগড়া উপজে’লার ইতনা গ্রামের মৃ’ত জালাল বিশ্বাসের ছেলে বি এম সোহেল রানাকে। তাদের বিয়ের কয়েক মাস না যেতে একই এলাকার আলতাফ শেখের ছেলে মজুরুল শেখের সাথে অ’নৈতিক অবস্থায় ধ’রা পড়ে।
এসময় এলাকার মাতাব্বর জলিল মুন্সি, ইউসুফ শেখ, কামরুল শেখ, হাবিব হানদার ও বাদশা হানদার সহ এলাকাবাসী সালিশি বৈঠক করে ২০ হাজার টাকা জ’রিমানা করা হয়। তবে মুঠোফোনে একাধিক বিয়ের কথা স্বীকার করলেও অন্যান্য অ’ভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে শাহনাজ পারভীন রূপা কোন মন্তব্য না করে ফোন কে’টে দেন।
একটি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজে’লার দাত্তাপাকুটিয়া গ্রামের মামা শামছু উদ্দিন, মামি হেলেনা খাতুনকে পিতা মাতা সাজিয়ে ধনবাড়ী উপজে’লার মমিনপুর গ্রামের স্থানীয় ও বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করে জন্ম সনদ ও নাগরিকত্ব সনদ হাসিল করেন রুপা। এ বিষয়ে স্বীকার করে রূপা জানান, শামস উদ্দিন ও হেলেনা খাতুন তার মামা মামি।