Entertainment News

বলিউডের কিং খান শাহরুখের বাবা-মায়ের মৃ’ত্যুর হৃদয়স্প’র্শী গল্প!

বলিউডের কিং খান – ক্যা’ন্সারে প্রায় ৮ মাস হস্পিটালাইজড থেকে চিকিৎ’সা নেয়ার পর চিকি’ৎসক জা’নালেন বাবা এখন সু’স্থ, তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে। বাসায় নিয়ে এলেন তাকে শাহ্‌ রুখ। থ্রোট ক্যা’ন্সার ছিলো। বাড়িতে এসেই বাবা খেতে চাইলেন ভ্যানিলা আইসক্রিম। আইসক্রিম দেয়া হলো। ঐদিন রাতেই সবাইকে ছে’ড়ে চলে গে’লেন শাহ্‌ রুখ এর বাবা। ক’ষ্টের কারনে বাবার চেহারা দে’খতে পারেননি শাহ্‌ রুখ। ভ্যানিলা আইস্ক্রিম খেতে থাকা বাবার সেই খুশি মুখটাই বাবাকে নিয়ে শাহ্‌রুখ এর শেষ স্মৃ’তি।

বাবা চলে যাওয়ার পর ছে’লে মে’য়েকে মানুষ করার পুরো দায়িত্ব এসে যায় মায়ের কাঁধে। কখনো ছোটোখাটো কাজ করে, ধার দেনা করে সংসার চালিয়েছেন, পড়িয়েছেন ছে’লেমে’য়েদের। বাবার মৃ’ত্যুর শো’ক, পারিবারিক প’রিস্থিতি অনেকটা কা’টিয়ে উঠছিলেন তখনি অ’সু’স্থ হলো শাহ্‌ রুখ এর মা। মা বেশ হেলদি ছিলেন। তবে ডায়াবেটিকস এর স’মস্যায় ভুগছিলেন। এক রাতে পায়ে একটু আ’ঘাত পাওয়াতেই হপ্সিটালে ভর্তি হন। পরে অবস্থা খা’রাপ হওয়াতে আই.সি.ইউ তে নিতে হয়।

শাহ্‌ রুখ কারো থেকে শুনেছিলেন প্রিয় কেউ মৃ’ত্যুশয্যায় থাকলে আল্লাহ্‌র কাছে যতক্ষণ ধ’রে দুয়া চাওয়া হয় ততক্ষণ আল্লাহ্‌ দুয়া শোনাতেই ব্যস্ত থাকেন, কোনো অ্যাকশনে যান না। হস্পিটালের পার্কিং লটেই দুয়ায় বসে পরেন শাহ্‌রুখ। একটা দুয়াই পারতেন তিনি ‘নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারীব’। পড়তে থাকেন একনাগাড়ে। একটা সময় ডক্টর এসে বলেন আপনি আই.সি.ইউ তে যান। তখন অন্য কাউকে আই.সি.ইউ তে ডা’কার মানে রো’গী আর বেঁ’চে নেই। তবুও শাহ্‌রুখ যেতে চাচ্ছিলেন না, দুয়া পড়তে থাকেন এই আশায় যে মা বেঁ’চে থাকবেন দুয়া পড়তে থাকলে।

শাহ্‌রুখ এর একটা থিওরি ছিলো মানুষ তখনই মা’রা যায় যখন সে পৃথিবীতে স্যাটিসফাইড হতে পারে। বিশেষ করে মা বাবা যখন বুঝতে পারে তার ছে’লে মে’য়ে তাদের ছাড়াও জীবন চালিয়ে নিতে পারবে তখন হয়ত চলে যায়। তো শাহ্‌রুখ এর মা যখন হপ্সিটালে খুব অ’সু’স্থ অব’স্থায় ছিলেন, শাহ্‌রুখ সারাক্ষণ মায়ের পাশে বসে উল্টাপাল্টা কথা বলতেন যে, মা চলে গেলে সে পড়াশোনা করবেনা, বোনের খেয়াল রাখবেনা। এগুলা বলতেন যাতে মা স্যাটিসফাইড না থাকে। যাতে মা তাকে ছে’ড়ে চলে না যায়। কিন্তু মা হয়ত স্যাটিসফাইড ছিলেন, মা হয়ত জানতেন এই ছে’লে তার বোনের খেয়াল রাখবে, জীবনে অনেক কিছু করবে।

অ’তি আশ্চর্যের একটা ব্যাপার হচ্ছে, শাহরুখের বাবাকে দিনের পর দিন কেমোথেরাপি দেয়ার পরেও তার মা’থার চুল কমে যায়নি যেখানে কেমো দেয়া মানেই চুল প’ড়ে যাবে। বাবার এই হেয়ার গ্রোথ সম্ভবত ছে’লে পেয়েছে যেকারণে এই বয়সেও মা’থা ভর্তি চুল। আর এই দুটো ঘ’টনার পর শাহরুখের বোনটা এত বাজে রকমের মা’নসিক আ’ঘাত পেলেন যে এখনও পুরোপুরি সু’স্থ হতে পারেননি।

পাঠকের মতামত:

Back to top button